বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া ভুতের গল্প।

 

বাংলা ভুতের গল্প 

আমাদের জীবনে মাঝে মাঝে এমন সব ঘটনা ঘটে যার কোন ব্যাখ্যা হয়না বা খোঁজে পাওয়া যায়না। বিজ্ঞান বলে ভুত বলতে কিছু নেই,আছে কিনা তা আমার জানা নেই। 

তবে অদ্ভুত কিছু ঘটনা থাকে যা আমাদের হ্নদয়ে দাগ কেটে যায় যার সঠিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়না। আজ তেমনি একটা ঘটনা আপনাদের বলবো।

এটা ঘটে ছিলো আমি যখন একেবারেই ছোট ছিলাম তখন।আমি ক্লাস তখন ফোর এ পড়ি।আমাদের স্কুলের পিছনেই ছিলো বিশাল এক পুকুর আর তার সাথেই ছিলো বিশাল জংগল।

যেখানে মানুষ দিনের বেলা একা যেতেও ভয় পেতো।তো আসল কথায় আসি,আমি ছোট বেলায় চরম লেভেল এর ফাঁকিবাজ ছিলাম।

ক্লাস করতে আমার ভালোই লাগতোনা।তো আমাদের স্কুল এর ক্লাস থেকে,মানে আমরা যেখানে বসে ক্লাস করতাম সেখানকার জানালা দিয়ে বই পিছনে ফেলে দিয়ে সবার সামনে দিয়ে একদম সাধুভাবে বেড়িয়ে পিছনে গিয়ে বই নিয়ে সেই জংগলের ভিতর দিয়ে বাড়ি চলে আসতে পারা যেতো।

মানে হলো ক্লাস ফাকি দিয়ে চুরি করে স্কুল থেকে পালিয়ে আসার সুন্দর চরম ফন্ধি।তো যথারীতি সেদিনও ক্লাস ফাঁকি দিবার দান্ধা করি এবং বই ফেলে দেই জানালা দিয়ে।

কিন্তু ঝামেলা পাকে যখন,আমরা বই ফেলি তখন স্যার দেখে ফেলে আর স্যার যারা পরে বই ফেলে তাদের দরে ফেলে এবং ইচ্ছামত মাইর দেয়।

আমরা কয়েকজন বই আগে ফেলেছিলাম তাই আমরা পালিয়ে আসতে সক্ষম হই।কিন্তু কথা হলো গিয়ে পালাতে গিয়ে কখন যে নিজের অজান্তেই জংগলের ভিতরে অনেকটা গবীরে চলে যাই টের ও পাইনি।

সেখানে যাবার পর খেয়াল আসে আরে আমিতো অনেক দূরে চলে এসেছি,এদিকে পিছনে তাঁকিয়ে দেখি আমার সাথে যারা ছিলো তারা কেউ নেই।

আমি ভয় পাচ্ছিলাম ইকটু ইকটু করে।তখন দেখি একটা মহিলা এই জংগলের ভিতরে ঘোমটা দিয়ে পাতা ফোরে।পাতা ফোরা মানে হলো শুকনো পাতা ঝাড়ু দিয়ে একসাথে সংরক্ষণ করা।

আমি মনে ইকটু সাহস পাই,ওমা ইকটু সামনে আসার পর দেখি কিসের মহিলা কিসের কি,সেখানে কেউ নেউ।অনেকখানি সামনে একটা কালো কুত্তা দাঁড়িয়ে আছে।

আমি ভয় পেয়ে দৌড় লাগাই,আর মনে মনে আমার সাথে যারা ছিলো তাদের গোষ্ঠী উদ্ধার করে ফেলতে থাকি।আর ভয় কারে কয়।বলেনা ভয়ের সময় ঝামেলা আরো বেশি হয়।

আমার সাথে তাই হলো, আমি যখন দৌড়াচ্ছিলাম তখন আমার হাত থেকে বই পড়ে যায়।যখনি আমি বই নিতে যাই তখন আবার পিছনে তাকিয়ে দেখি একটা কালো কুচকুচে ঘোড়া। 

আমি এর আগে ঘোড়া দেখিনি,আমি শুধু বইতে দেখেছিলাম।যেই আমি বই তুলে হাতে নিলাম তখন আমার মনে হলো ইকটু কাছে গিয়ে দেখে আসি ঘোড়া টা।

ওমাগো আমি একপা দুপা করে যেই সামনে এগুতে লাগলাম সেই আমার মনে হলো আরে এখানে ঘোড়া আসবে কোথা থেকে,এখানে অনেকেই নাকি ঘোড়া দেখছে আর যারা দেখছে তাদের সাথে কিছুনা কিছু খারাপ হয়েছে।

আমার মনে হলো কি হচ্ছে এসব,আমি তখন দেখি আমি এই যে হাটছি আমি যেখানে ছিলাম সেখানেই আসি।ইকটুও এগোতে পারিনি।

আমি যখন পিছনে তাকাই আবার দেখি সেই মহিলা পাতা ফোরে,আরে এই মহিলা কই চলে গেছিলো। আর কই থেকে আবার আসলো? 

তাও আমি মনে সাহস নিয়ে উনার কাছে যাচ্ছিলাম বলার জন্য রাস্তা বলে দিতে।কিন্তু যেই আমি উনার হাতের দিকে তাকাই পুড়া কালো কেমন জানি হাত দেখতে পাই যা দেখে আমি আরও ভয় পেয়ে যাই।

তখন মহিলা বলে ওঠে আয়,আমি আরও ভয় পেয়ে মনে মনে বলি জীবনেও আর চুরি করবো না।স্কুল ফাঁকি দিবোনা।কেউ আমারে বাঁচানারে।

তখন আজান দিয়ে দেয়,আর শুনি মহিলা বলে তুর ভাগ্য ভালো তাই বেঁচে ফিরলি।আমি স্কুল থেকে পালিয়েছি দুই ক্লাদ করার পর,আজান দিয়ে দিয়েছে মানে আমি দু ঘন্টা যাবত এক জায়গায় এক রাস্তায় ই হাটতেছি।

হাপিয়ে গেছি কিন্তু জংগল থেকে বেরোতে পারিনি।এটা কি করে হতে পারে।এই জংগল পেরোতে গেলে মাত্র ২০ মিনিট লাগার কথা কিন্তু ২ ঘন্টায় ও বেরুতে পারিনি।

যাই হোক,কিছুক্ষন পর দেখি আমার সাথে যারা পালিয়ে ছিলো তারা,তাদের যখন জিজ্ঞেস করি তারা এতক্ষন কোথায় ছিলো তারা বলে তারা স্যার এর ভয়ে পুকুর পাড়ে লুকিয়ে ছিলো আমি একাই এই জংগলে ডোকে গিয়েছিলাম।

আর তারা যখন দেখেছিলো দুপুর হয়ে গেছে তাই তারা কেউ আর আমার পিছনে আসেনি,তারা সবাই জানত্য এই জংগলে অদ্ভুত কিছু হয়। কিন্তু কেউ আমাকে বলেনি।

তবে যাই হোক আমি ভালো ভাবেই বাড়ি ফিরি,সেই রাস্তায় আর কোনদিন ও যাইনি।সেদিনের পর আর কখনো চুরি করিনি।তবে অনেকেই বলেছিলো এই জংগল এ এমন কিছু অনেকেই দেখেছে।

Post a Comment

0 Comments