ভ্যাম্পায়ার রাজপুত্র।


গরীব মাঝি নদী পার করার সময় নদীতে একটা ছোট বাচ্ছাকে ভেসে আসতে দেখে তার কাছে গিয়ে তাকে কুলে তুলে নেয়।

মাঝির এক মেয়ে ও এক ছেলে ছিলো, তারপর ও মাঝি এই ছোট ছেলেকে দেখে ফেলে রেখে আসতে পারেনি।সাথে করে বাড়ি নিয়ে এসেছে।তার বউ দেখে প্রথমে কিছুটা রাগ করলেও পরক্ষনেই বাচ্ছাটাকে কুলে তুলে নেয়।

মাঝির বউ রাগ করার একমাত্র কারন ছিলো তাদের দু সন্তান নিয়ে নিজেদের ই সংসার চালানো কষ্ট কর ছিলো তার উপর নতুন আরেকটা বাচ্ছা তাই রেগে ছিলো। কিন্তু বাচ্ছার মায়া চাহনি তাকে আর রাগ করে থাকতে দেয়নি

বাচ্ছার কপালে একটা দাগ ছিলো অনেকটা স্টোনের মত,যা দিনের বেলা দেখা না গেলেও রাত হলে এটা জ্বলজ্বল করতো। 

মাঝির এক মেয়ে এক ছেলে আর পালিত ছেলে নিয়ে ভালোই চলছিলো সংসার।মাঝির বড় ছেলে রাহাত কে খুব ক্ষেপাতো আর বলতো তাকে নদী থেকে কুড়িয়ে পেয়েছে কিন্তু তার বোন আয়না তাকে কখনো কষ্ট দিতোনা।

আরো পড়ুনঃঃরহস্যময় লেখক।

মাঝির ছেলের নাম আয়ান আর মেয়ে আয়না।মাঝির ছেলে বড় কিন্তু আয়না আর রাহাত সমবয়সি।দেখতে দেখতে মাঝির ছেলে মেয়ে বড় হয়ে গেলো। একদিন মাঝির দেশে খাবারের অকাল পড়লো। চারিদিকে খাবারের কষ্ট সকল ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।

এটা কেনো বা কিসের জন্য কেউ জানতো না,অনেক কিছুর পর জানতে পারা গেলো এগুলো ভ্যাম্পায়ার এর কাজ।তারা রাতের বেলা এসে একটা ছেলেকে খোযে আর না পেয়ে সকল ফসলে আগুন লাগিয়ে দেয়।

রাজার মাথায় একথা যাবার পর সে রাজ্যে এ ঘোসনা করে দিয়েছে কেউ যদি সেই ভ্যাম্পায়ার এর খোঁজ এ দেয় তবে তাকে অনেক টাকা উপহার দেওয়া হবে।

আসলে এখানে ব্যাপারটা হলো এই যে ভ্যাম্পায়ার রা এসে রাজাকে হুমকি দিয়ে গেছে তাদের রাজ্যের একটা ভ্যাম্পায়ার  এদেশে ছিলো তাকে যদি ফেরত না দেওয়া হয় তবে পুরো দেশ নষ্ট করে ফেলবে।তাই রাজা এটা ঘোষণা করে দিয়েছে।

এদিকে রাহাতের শরীর এ মাঝে মাঝে অদ্ভুত ব্যাপার হত।সামনের দাত বড় হয়ে যেতো,ভ্যাম্পায়ার এর মত লুক হয়ে যেতো, মাঝে মাঝে পাগলের মত করতো।যা শুধু রাহাত ই জানতো।

এদিকে সেদিন রাতে ভ্যাম্পায়ার রা আবারো হামলা চালায়।আর ফসলের জমি জ্বালিয়ে দিবার সময় মাঝির ঘর পুড়ে যায়।সবাই সব হারা হয়ে যায়।আর রাজার ঘোসনা শুনে আয়ানের মনে হয় তার ভাই এই দুনিয়ার কেউ না বাহিরের কেউ তাই সে রাজার কাছে টাকার লোভে দরিয়ে দিতে চায়।

এটা আয়না জেনে ফেলে আর সে রাহাত কে পালিয়ে যেতে বলে।রাহাত সকলকে ছেড়ে যেতে চাইছিলো না কিন্তু সবার বিপদ জেনে পালিয়ে যায়।বনের গহীনে যাবার পর তার একটা লোকের সাথে দেখা যায়।সে রাহাতকে দেখেই চিনে ফেলে আর বলে আমাদের রাজপুত্র। 

রাহাত যখন পুরো কথা জানতে চায় তখন লোকটা বলে তোমার বাবা ভ্যাম্পায়ার এর দের রাজা আর তুমি তাদের একমাত্র ছেলে।তোমার চাচা নিজে রাজা হবার লোভে তোমাকে আর তোমার বাবাকে মেরে ফেলে যেনো সব তার করে নিতে পারে।

তোমাদের রাজ্যেএ একটা পাথর আছে যার দ্বারা সকল কিছু নিজের বশে নেওয়া যায়।আর সেই পাথরটা যার কাছে থাকে সেই সকল রাজ্যের রাজা হয়।সেই পাথরের জন্য আর রাজত্ব্যের জন্য তোমার বাবাকে মেরে ফেলা হয়।তোমার বাবা মারা যাবার আগে তার যাদু দিয়ে সেই পাথর তোমার শরীরে ডুকিয়ে দিয়েছে যার জন্য তুমি পুরো মানুষের মত।দিন রাতে তোমার কোন সমস্যা হয়না।


আর সেদিন তোমার চাচা যখন তোমাকে মেরে ফেলতেই ছিলো তখন তোমার বাবা যাদু করে তোমাকে আর আমাকে এই দুনিয়াতে পাঠিয়ে দেয়।আমি তোমার বাবার চাকর ছিলাম।আমি এখানে এসে তোমাকে হারিয়ে ফেলি যখন হুস আসে তখন অনেক খোজে তোমাকে মাঝির বাড়িতে পাই।যেখানে তুমি নিরাপদ এ ছিলে তাই তোমাকে নিজের কাছে আর আনিনি কারন মানুষ তোমাকে যেভাবে রাখতে পারবে আমি সেভাবে পারবোনা।

তোমার চাচা সেই পাথরের জন্য আজও রাজা হতে পারেনি।আর তোমার চাচা সবাইকে বলেছে তুমি মারা গেছো সেই শুকে তোমার বাবা মা নিজেরা সুসাইড করেছে।আর এখন তোমাকে খুজছে তার একমাত্র কারন সেই পাথর টা যেটা তোমার শরীলে গাথা।

এককথা শুনার পর রাহাত বলে এখন আমি আমার দেশে কিভাবে যাবো।লোকটা বললো তোমাকে নিজে থেকে দরা দিতে হবে আর তারা যদি নিজে থেকে তোমাকে না নেয় তবে তুমি যেতে পারবেনা নিজের রাজ্যে। 

একথা শুনে রাহাতের মাথায় একটা প্যান আসে।সে তার পরিবারের কাছে যায় আর সবাইকে সবখুলে বলে। প্রথমে সবাই ভয় পেলেও পরে সবাই সবটা সামলে নেয়।আয়ানকে বলে রাজার কাছে রাহাতকে নিয়ে যেতে।রাজা যাকে খোজসে এটা সে ই।

একথা শুনে আয়ান কেধে ওঠে যত রাগ করুক আর লোভ করুক আজ রাহাতের মুখে সব শুনে আয়ান রাজি হচ্ছিলো না তাকে রাজার কাছে ধরিয়ে দিতে।রাহাত বলে দেখো আমাদের একটা ঘর পর্যন্ত নেই এভাবে ঘুরে ঘুরে আরকতদিন। আর দেখো সবার কত কষ্ট আমাকে দরিয়ে দাও রাজার টাকায় সব করে নিয়ো।এককথা শুনে আয়ান রাহাতকে রাজার কাছে নিয়ে যায়।

রাজা আয়ানকে অনেক টাকা উপহার দেয় আর রাহাতকে ভ্যাম্পায়ার এর কাছে দরিয়ে দেয়।আয়ান টাকা দিয়ে বাড়ি বানিয়ে সবাইকে নিয়ে বাড়ি চলে আসে।সবাই এখানে থাকা শুরু করে।আয়না রাহাতকে খুব ভালো বাসতো। তাই আয়না রাহাতকে ভুলতে পারছেনা আর খুব মিস করছে এটা সবাই জানতো।সবাই খুব মিস করছিলো রাহাতকে।

এদিকে রাহাত কে বন্ধি করে তার রাজ্যে এ নিয়ে যাবার পর রাহাত নিজেকে অনেক শক্তিশালি মনে করে।তার শরীরে অনেক জুর সে বুঝতে পারে।তার চাচার কাছ থেকে জানতে পারে যে রাহাত যদি নিজে থেকে সেই পাথর না দেয় তবে তার চাচা সেটা কখনো নিজের করতে পারবেনা।আর তার চাচা শুধু নিজের রাজা হবার জন্য পাথরটা চাইতোনা, সে চাইতো মানুষের দুনিয়াতেও রাজ করতে তাই সে সেই পাথর চাইছিলো যার মাধ্যমে সে মানুষ দের বশ করে দুনিয়াতেও রাজ করতে পারে।

এককথা জানার পর রাহাত রেগে যায়, রাহাতের রাগে রাহাতের বাধনখুলে যায়।রাহাতের চাচা যখন পাথর চায় রাহাত দিতে চায়না দেখে তার চাচা রাহাতকে মেরে ফেলতে চায়।কারন রাহাত নিজে ইচ্ছায় পাথর দিলে তার চাচা দুনিয়াতেও রাজ করতে পারবে আর যদি মেরে নেয় তবে দুনিয়াতে না করতে পারলেও তাদের রাজ্যও এ করতে পারবে।

রাহাতের চাচা রাহাতকে মারতে আসার সাথে সাথে তার শরীর থেকে এক দরনের বেগুনি আলো বের হয় যার ফলে তার চাচা মারা যায়।আর সবাই জানতে পারে রাহাত তাদের রাজ্যের রাজার ছেলে।রাহাতের কপালের দাগটা জ্বলে ওঠে। 

রাহাত সেখানের রাজা হবার পর দুনিয়াতে ফিরে আসে তার যাদু দিয়ে সব কিছু ঠিক করে দেয়।আয়ান আর আয়নার কাছে যায়। গিয়ে আয়নাকে বিয়ে কর‍তে চায় মাঝি এতে রাজি হয়ে যায়।যেহেতু আয়না সবটা জানার পর ও আয়ানকে ভালো বাসে তাই আয়না ও অমত করেনি।রাহাত আয়নাকে বিয়ে করে তাদের দুনিয়াতে নিয়ে যায়।সেখানে তাদের সুন্দর সংসার পাতার সপ্ন সাজিয়ে রাখে।আর শান্তিতে বসবাস করার সংকল্পে নতুন জীবন গড়ে।

[[গল্পটা পুরোই কাল্পনিক। যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে অঅবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।আর যদি এর পরবর্তী পার্ট চান, তবে অবশ্যই কমেন্ট করবেন আমি লিখার চেস্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আর না চাইলে এখানেই শেষ। ]]


আপনাদের যদি ফ্যান্টাসি ড্রামা ভালো লাগে তবে আমার ইউটিউব চ্যানেল সাবক্রাইব করতে পারেন।সেখানে আমি চাইনিজ, কোরিয়ান,থাই ড্রামার বাংলা এক্সপ্লেইন করি।আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।my vampire gril explanation bangla link-https://youtu.be/q5beHK-Kj-I

ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আর ইচ্ছে ঘুড়ির সাথেই থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

Post a Comment

0 Comments