ভুতের গল্প, সত্য কাহিনী

 

ভুতের গল্প। সত্য কাহিনী 

ভুত আছে বা নেই আমার জানা নেই।তবে আমাদের জীবনে এমন কিছু ঘটে যা ভুলার ও উপায় থাকেনা বা ভুলা যায়না।কখনো এর সঠিক ব্যাখ্যা ও খোঁজে পাওয়া যায়না।

তেমনি একটা কাহিনী বলবো আপনাদের সাথে যেটা আমার নিজের সাথে ঘটেছিলো, যার সঠিক ব্যাখ্যা আমি আজও পাইনি।

আরও পড়ুন ঃ ভুতের গল্প। পার্ট-২

একদিন ভর সন্ধ্যা, আমার ছেলের বয়স তখন পাঁঁচ মাত্র সাইকেল চালানো শিখেছে,আর আমি পেগনেন্ট।তখন আমার মেয়ে আমার পেটে ছিলো। 

তো আমার ছেলে সাইকেল নিয়ে বের হয়েছে অনেকক্ষন,সন্ধ্যা হয়ে গেছে কিন্তু বাসায় আসছেনা দেখে আমি নিজেই খোজতে বের হয়েছি।

আমাদের বাসা গ্রামে, আর আজান দিবার পরও যেই হালকা ফর্সা থাকে ঠিক সেই সময়টা।।আমার ছেলেকে খোজে পাই বাড়ির কাছেই,একটা অন্য বাড়ির কাছে দাঁড়িয়ে কান্না করছে।

আমি যখন জিজ্ঞেস করি কান্না করিস কেনো?সে বলে আপু আমার সাইকেল নিয়ে গেছে।আমাকে দিচ্ছেনা,তখন আমি বলি কোথায় তুর আপু। তখন আমাদের বাড়ির সাথেই একটা বাশঝাড় আছে সেটা দেখিয়ে দেয়।

আমি সেখানে তাকিয়ে দেখি যে কেউ একজন সাইকেল টা ধুম করে এনে বাশঝাড়ের সামনে রাস্তায় এনে ফেলছে।তো আমি সেখান থেকে সাইকেল নিয়ে আসি।

সাইকেল নিয়ে বাড়ি আসার সময় আমার ছেলে তার যেই আপুর কথা বলে তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখি সে তাদের রুমে বসে আছে আর যখন জিগ্যেস করি সাইকেল কেনো নিয়েছে তখন সে বলে সে সাইকেল নেয়নি।

এদিকে আমার ছেলে তার কথাই বলছে।ওর আম্মুকে যখন বলি তার আম্মু ও বলে সে আজ বাসা থেকে বের হয়নি।

আরও একটা বড় কথা হলো যেখানে সাইকেল ছিলো, সেখান থেকে সাইকেল রেখে যদি বাড়ি আসে তবে আমাদের আগে বাড়ি আসা সম্ভব না।আর সেখান থেকে বাড়তে আসার একটাই রাস্তা ছিলো যেখানে আমারা ছিলাম আমরা তাকে বাড়ি আস্তে দেখিনি।

সে যদি আসতো তবে অবশ্যই আমরা দেখতাম।আর আমি স্পষ্ট দেখেছিলাম কেউ সাইকেল টা চালিয়ে ফেলে রেখে যাচ্ছে,জজ্ঞলের দিকে।আর যেখানে দেখেছিলাম সেই জায়গাটা নিয়ে সবারই কমবেশি অবজেকশন ছিলো যে সেখানে অনেকেই অবনরমাল অনেক কিছু দেখেছে।

তবে আমি আজও এর মানে খোঁজে পাইনি।কাহিনী এখানে সমাপ্ত হলেও ভালো হত কিন্তু হয়নি।তারপর থেমে আমার সাথে ঘটতে থাকলো আজব ঘটনা।

সেদিনের পর থেকে রাতে এশার আজান দিবার পর থেকেই কেমন জানি একটা ভয় কাজ করতো,আর যখন সকল কাজ শেষ করে শুতে যেতাম তারপর মনে হত বাহিরে তুফান হচ্ছে কিন্তু আসলে সেইরকম কিছুই হতো না।

রাত বাড়ার সাথে সাথে জানালায় দাঁড়িয়ে কেউ ঢাকতো।এমন হবার পর আমি আর ঘরের লাইট অফ করতাম না।তো একদিন ঘুম ভেংংগে গেছে তো আমি শুনতেছি বাহিরে সবাই সজাগ হয়ে গেছে।

সবাই বলেতেছে ওঠার জন্য,আমার রুমে লাইট জ্বালানো তো আমি আমার শশুড়ের রুমে যাই কারন সেখানে বাথরুম আমার নিয়ত ছিলো বাথরুম থেকে এসে একেবারে দরজা খুলবো।

ওমা বাথরুম এ গিয়ে দেখি বাহিরে অন্ধকার, এখনো সকাল হয়নি।আমি রুমে এসে দেখি রাত দুটো বাজে।আর বাহিরের সেই শব্দ হাকডাক কিছুই নেই।

আরেকদিন শুনি আমায় ডাকছে নামাজ পড়ার জন্য সকাল হয়ে গেছে।আমি ওঠে পড়ি দরজা খুলতে যাবো, তার আগে ভাবলাম লাইট অফ করে নেই।

লাইট অফ করে আমি হতবাক, সকাল হয়নি রাত তিনটা বাজে।আর এতক্ষণ কি ছিলো আমার জানা নেই।এমন ঘটনা মাঝে মাঝেই হতে থাকে।

একদিন আমার ঝা এর বাড়ি যাই,গিয়ে দেখি ভাবি কোথা থেকে জানি এসেছে।তখন জিগ্যেস করি কই গিয়েছিলেন। উনি বলে কবিরাজ এর বাড়ি।বলি কিসের জন্য,উনি বলে"উনার বাড়িটা রাস্তার সাথে,এর সাথেও বাশঝাড় আছে।অনেক বছর দরে এখানে আছে।তো কখনো কিছু দেখেনি।তবে সেদিন রাতে উনি বাহিরে বাথরুম এ যায়।উনার বাথরুম রুমের বাহিরে অনেকটা দূরে।

সেখান থেকে আসার সময় নাকি কিছু একটার শব্দ শুনে কিন্তু কিছু দেখতে পায়নি।তারপর থেকে উনার খুবপেটব্যাথা।তাই উনি কবিরাজের বাড়ি গেছে।

আমি উনাকে আমার সমস্যার কথা বলি,উনি আমাকে কবিরাজ এর বাড়ি যেতে বলে।আমি সেখানে যাই এবং গিয়ে বলি।উনি কি কি জানি করেছিলো আর একটা তাবিজ দিয়েছিলো আর বলেছিলো যতদিন পর্যন্ত বেবি না হয় ততদিন পর্যন্ত এটা ব্যবহার করার জন্য। 

আমি তাই করেছিলাম,তারপর আল্লাহর রহমতে আমার আর কোন সমস্যা হয়নি।তবে আজও আমি এটার ব্যাখ্যা খোঁজে পাইনি।


Post a Comment

0 Comments